বাংলাদেশের পাবর্ত্য অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে জেলা পাবর্ত্য বিষয়ক পরিষদ গঠন করা হয়েছে – District Hill Council Job Circular 2024
পার্বত্য জেলা পরিষদ কেন তৈরি হল? ভৌগোলি কভাবেহিমালয় অঞ্চল হতে দূরে দক্ষিণে শাখা প্রশাখায় বিস্তৃত পাহাড়ী এলাকা নিয়েবৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। আসাম ও পার্বত্য ত্রিপুরা হতেআরাকান ও বার্মার সীমান্ত পর্যন্ত। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামজেলা ছিল পার্বত্য ত্রিপুরা এবং আরাকান শাসকদের একটি বিবাদের বিষয়। আর একারণে এ অঞ্চলের রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা যুজা রূপা (বিরা রাজা) ৫৯০খ্রিস্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজাকে পরাজিত করেন এবং রাঙ্গামাটিতেতার রাজধানী স্থাপন করেন। আবার ঐতিহ্যগত মতানুসারে, পার্বথ্য ত্রিপুরাররাজা উদয়গিরি কিলয় ও মংলয় নামের দু’ভাইকে রিয়াং এলাকার অফিসার-ইন-চার্জনিয়োগ করেন। তারা মাতামুহুরী নদীর দক্ষিণে পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করতেন। ৯৫৩খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলা সান্দ্র(Tsula Tsandra) (৯৫১-৯৫৭) বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম দখল করেন। পরবর্তীতে ১২৪০ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরার রাজা পুনরায় এ অঞ্চল দখল করেন।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার আয়তন ৪৪৭৯.০৪ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ৪,০৪,০৯৩ জন। এ জেলার রয়েছে দীর্ঘ ও গৌরবময় ইতিহাস। সুদূর অতীতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে ত্রিপুরা রাজ ও আরাকান রাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলার ফলে অঞ্চলটি বহুবার হাত বদল হয়। প্রাচীনকালে পার্বত্য অঞ্চলসহ চট্টগ্রাম ছিল বাংলার হরিকেল জনপদের অর্ন্তভূক্ত। ঐ সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন উপজাতীয় বসতি গড়ে উঠেনি। ৫৯০ খ্রিঃ পার্বত্য ত্রিপুরা রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা জুযা রুপা (বীর রাজা) আরাকান রাজাকে পরাজিত করে তার দুই ভাই উদয়গিরি কিলাই এবং মংলাইকে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করেন এবং তারা মাতামুহুরী নদীর দক্ষিণে পাহাড়ে বসবাস করতে থাকে। ৯৫৩ খ্রিঃ আরাকান রাজ সুলা সান্দ্র চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার দখল করে নেন। ১২৪০ খ্রিঃ ত্রিপুরা রাজা পুনরায় এটিকে উদ্ধার করেন। পরে সুলতানী আমলে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ বিশেষ ক্রমান্বয়ে সুলতান ফকরুদ্দীন মুবারক শাহ্ (১৩৩৮-১৩৪৯), সুলতান জালাল উদ্দিন মুহামমদ শাহ্ (১৪১৮-১৪৩১), সুলতান ইলিয়াস শাহ্ (১৪৫৯-১৪৭৪), সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ (১৪৯৩-১৫১৯) এর শাসনাধীন ছিল। ১৫৭১ সাল থেকে এ অঞ্চল আরাকান রাজা মং ফালাউন ওরফে সিকান্দার শাহ্ এর অধীনে ছিল। ১৬৬৬ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রাম মোগল অধিকারে আসে। ১৭৬০ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলার নবাব মীর কাশিম পার্বত্য চট্টগ্রামসহ পুরো চট্টগ্রামের দায়িত্ব ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে তুলে দেন এবং ১৭৮৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ইংরেজদের পূর্ণ কতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বৃটিশ শাসনামলে ১৮৬০ সালে ‘রেইন অব ফ্রন্টিয়ার ট্রাইব্স এ্যাক্ট’ অনুসারে চট্টগ্রাম জেলা থেকে পার্বত্য অঞ্চলটিকে (উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে দক্ষিণে মায়ানমারের আরাকান রাজ্য পর্যন্ত) পৃথক করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে একটি নতুন পৃথক জেলা সৃষ্টির মাধ্যমে ” হিল সুপারিনটেডেন্ট ” পদবীতে একজন শাসনকর্তা নিয়োগ করা হয়।
ভৌগোলি কভাবেহিমালয় অঞ্চল হতে দূরে দক্ষিণে শাখা প্রশাখায় বিস্তৃত পাহাড়ী এলাকা নিয়েবৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। আসাম ও পার্বত্য ত্রিপুরা হতেআরাকান ও বার্মার সীমান্ত পর্যন্ত। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামজেলা ছিল পার্বত্য ত্রিপুরা এবং আরাকান শাসকদের একটি বিবাদের বিষয়। আর একারণে এ অঞ্চলের রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা যুজা রূপা (বিরা রাজা) ৫৯০খ্রিস্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজাকে পরাজিত করেন এবং রাঙ্গামাটিতেতার রাজধানী স্থাপন করেন। আবার ঐতিহ্যগত মতানুসারে, পার্বথ্য ত্রিপুরাররাজা উদয়গিরি কিলয় ও মংলয় নামের দু’ভাইকে রিয়াং এলাকার অফিসার-ইন-চার্জনিয়োগ করেন। তারা মাতামুহুরী নদীর দক্ষিণে পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করতেন। ৯৫৩খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলা সান্দ্র(Tsula Tsandra) (৯৫১-৯৫৭) বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম দখল করেন। পরবর্তীতে ১২৪০ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরার রাজা পুনরায় এ অঞ্চল দখল করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2024 । খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ নোটিশ বোর্ড
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি এলাকা, যা তিনটি জেলা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি নিয়ে গঠিত।
Caption: District Hill Council Job Circular 2024
বাংলাদেশের পাবর্ত্য জেলা পরিষদ । পার্বত্য বিষয়ক পরিষদগুলো সম্পর্কে জেনে নিন
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যক্রম কি?
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাসরত উপজাতীয় অধিবাসী সহ সকল নাগরিকের রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১৯৮৯ সনের ২০ নং আইন দ্বারা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হয়। পূর্ববর্তী এবং সংশোধিত আইন অনুসারে একজন চেয়ারম্যান, একুশজন উপজাতীয় সদস্য এবং নয়জন অ-উপজাতীয় সদস্যদের সমন্বয়ে পরিষদ গঠন করার বিধান রয়েছে। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপজাতীয় সদস্য পদ নির্বাচনে – চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব অবশ্যই থাকতে হবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ জনসাধারণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের অনুপস্থিতিতে সরকার কর্তৃক গঠিত অর্ন্তবর্তীকালীন পরিষদ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।