South korea job circular 2022– দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে কৃষি ও মৎস্য খাতে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে ২০০ (দুইশ) জন বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়ােগ দেয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে গুগল ডকস ফর্মে আগামী ২০.০৮.২০২২খ্রি. সময়ের মধ্যে চাহিত তথ্য দাখিল করার জন্য অনুরােধ করা হয়েছে। উক্ত তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়ােজনে প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।

১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ জাপানীদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস শুরু হয়। এমনটা নয় যে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন দেশ, বরং সেখানে একই জনগণ রয়েছে এবং তাঁরা একই উপদ্বীপে আছে। এদেশে কৃষি কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে ২০০ জন কর্মী নেওয়া হবে।

বোয়েসেলের কর্মকর্তা নূর আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় কিছুদিন ধরে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার সংখ্যা একটু কমে গেছে, নেপাল ও অন্য দেশের কর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি, বাংলাদেশি কর্মীদের সংখ্যা আরো বাড়ানোর। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশি কর্মীদের ব্যাপারে নিয়োগ দাতাদের অনাগ্রহের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ”এরকম একটি কথা আমাদের কানেও এসেছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীদের নানাভাবে বোঝানো, পরামর্শ দিচ্ছি, যাতে সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে কোনরকম নেতিবাচক মনোভাব তৈরি না হয়।” এরই ধারাবাহিকতা এ সুযোগ এসেছে।

সাউথ কোরিয়াতে লোক নিয়োগ হবে / ২০০ কর্মী নেবে সাউথ কোরিয়া

বাংলাদেশ থেকে বৈধ উপায়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় দক্ষ কর্মী পাঠানোর একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেলের মুখপাত্র এবং প্রতিষ্ঠানটির উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন, এইচআর ও অর্থ)।

Caption: This recruitment will be completed by BOESL.GOV.BD

কেন আপনি কোরিয়াতে চাকরির জন্য যাবেন?

1. কোরিয়া প্রবেশের প্রথম মাস থেকেই ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩লক্ষ+ টাকা আয় করতে পারবেন।
2. স্থায়ীভাবে বসবাস: E9 ভিসায় কোরিয়া যেয়ে ভিসা পরিবর্তন করে E7 এর বিভিন্ন ভিসা করে স্থায়ীভাবে কোরিয়া বসবাস করতে পারবেন।
3. চাকরি শেষে বীমার টাকা পাবেন: প্রতি বছর দেশে আসতে পারবেন। চাকরি শেষে দেশে ফিরে আসার সময় বীমার টাকা পাবেন। আপনি দেশে চলে আসলেও বীমার টাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পাবেন।
4. অদক্ষ কর্মী থেকে দক্ষ কর্মী: দক্ষিণ কোরিয়ায় দক্ষ বা অদক্ষ আপনি যেভাবেই প্রবেশ করুন না কেন? দেশে ফিরে দক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে।
5. দক্ষিণ কোরিয়া একমাত্র দেশ যেখানে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়।
6. যেতে মাত্র ৮৫-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়। যাওয়ার খরচ প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে নেওয়া যায়।
7. আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী ডিউটি টাইম ৮ঘণ্টা। ওভার টাইম করতে চাইলে করতে পারবেন।
8. থাকা ও খাওয়ার সকল খরচ কোম্পানি বহন করে।
9. সাপ্তাহিক ছুটি: দুই দিন (শনিবারও রবিবার)। কোন কোন কোম্পানিতে (শুধু রবিবার)।
10. কোরিয়ান ভাষা কেন শিখবেন??
11. কোরিয়াতে সরকারি ভাবে যাওয়া যায়। তাছাড়া বেসরকারিভাবেও উচ্চশিক্ষা চাকরি ও স্থায়ী বসবাস করার জন্য যাওয়া যায়।
12. কোরিয়ান ভাষা জানলে বাংলাদেশে অসংখ্য বিদেশি কোম্পানীতে চাকুরি পাওয়া যায়।
13. দোভাষী ও ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।
14. বাংলাদেশে সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা যায়।
15. দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুবাদক হিসেবে কাজ করা যায়।
16. দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার যোগ্যতাঃ
17. যাদের কোরিয়ান ভাষা পড়া, লেখা ও বুঝার পারদর্শী আছে।
18. যাঁরা ইতিপূর্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধ ভাবে ছিলেন না।
19. মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP)/ ই-পাসপোর্ট (E-Passport) থাকতে হবে।
20. ১৮ থেকে ৩৯ বছর বয়সের পুরুষ/ মহিলা।
21. মেডিকেল ফিটনেস থাকতে হবে।
22. SSC/ সমমান পাসের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
23. ভোকেশনাল ট্রেড কোর্স সার্টিফিকেট (থাকলে ভালো না থাকলে সমস্যা নেই)।

কোরিয়াতে যাওয়ার আবেদন কিভাবে করতে হয়?

দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পদ্ধতি- EPS-TOPIK প্রি-রেজিষ্ট্রেশন -> EPS-TOPIK রেজিষ্ট্রেশন -> EPS-TOPIK CBT তে উত্তীর্ণ -> SKILL TEST-এ উত্তীর্ণ -> মেডিকেল ফিটনেস -> জব এপ্লিকেশন -> রোস্টার -> জবঅফার -> ভিসা ইস্যু -> ট্রেনিং (৭দিন) -> বিমান টিকেট -> ফ্লাইট -> কোরিয়া প্রবেশ। এছাড়া একমাত্র বোয়েসেলের মাধ্যমে আপনি কর্মী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া নির্ধারিত কাজে যেতে পারেন।